SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

On This Page
এসএসসি(ভোকেশনাল) - মেকানিক্যাল ড্রাফটিং উইথ ক্যাড-২ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

সারাবিশ্বে বিজ্ঞান ভিত্তিক যত বিস্ময়কর আবিষ্কার হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হল কম্পিউটার। এটি একটি প্রোগ্রাম (Program) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ইলেকট্রনিক যা (Electronic Device) যা ক্রমান্বরে এবং স্বয়ংক্রিয় ভাবে কাজ করতে সক্ষম। কম্পিউটার ৰাধাহীন ভাবে গানিতিক এবং লজিক্যাল অপারেশন (Operation) করতে সক্ষম।ঘরের কাজ থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক, বৈজ্ঞানিক, সামাজিক নানা ক্ষেত্রে এর রয়েছে অপরিসীম ব্যবহার সর্বোপরি যোগাযোগের ক্ষেত্রে এটি এনেছে অনন্য বিপ্লব। চিকিৎসা ও মানবকল্যাপেও এটি এক অনন্য সঙ্গী। এক কথায় কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা প্রায় সকল কাজ করতে সক্ষম।

কম্পিউটারের এই সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে মানুষ বহু অসাধ্যকে সাধ্য করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রকৌশল ক্ষেত্রে একটি যুগাম্বর কারী পরিবর্তন এনেছে ক্যাড সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যারটি প্রকৌশল ক্ষেত্রের প্রায় সকল শাখার ব্যবহার রয়েছে। বিশেষ করে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জটিল ড্রয়িং গুলি সহজে নিখুঁত ভাবে ড্রয়িং করতে এ সফটওয়ারের জুড়িমেলা ভার। পরিমাপের সঠিকতা রক্ষা করার ক্ষেত্রে রয়েছে এটির নিপুন দক্ষতা। আমরা এই অধ্যায়ে আলোচনা করবো ক্যাড সফটওয়ার ব্যবহার করে ড্রয়িং করার প্রস্তুতি সম্পর্কে।

এ অধ্যায় শেষে আমরা-

  • কাজের পরিকল্পনা ও পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারবো।
  • স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি অনুসরণ করে কাজ সম্পাদন করতে পারবো। 
  • কম্পিউটার এইডেড ড্রয়িং ও বিস্তারিত কাজের জন্য লে-আউট ও যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারবো।
  • ক্যাড সেটআপ,ক্যাড ওপেন, পেইজ সেটআপ, ডাইমেনশন সেটিং ইত্যাদি ক্যাডের প্রাথমিক প্রয়োজনীয় সেটআপ সমূহ করতে পারবো।
  • ইউজার কো-অরডিনেট সিস্টেম এবং ড্রাফটিং সেটিং সনাক্ত করতে পারবো।

উপর্যুক্ত শিখনফল গুলো অর্জনের লক্ষ্যে এ অধ্যায়ে আমরা কম্পিাউটার এইডেড ডিজাইনের প্রস্তুতি গ্রহনের কৌশল ও দক্ষতা অর্জন করব। যান্ত্রিক বন্ধনী ও গিয়ার অংকনের যথাযথ কৌশল রপ্ত করার উদ্দেশ্যে প্রথমে আমরা এ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় ত্বাত্তিক জ্ঞান অর্জন করব এবং জব গুলি সম্পন্ন করার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জন করব।

 

 

Content added By
Please, contribute to add content into কম্পিউটার ক্যাড ও CAD সফটওয়্যার.
Content

কম্পিউটার (Computer): যা বর্তমান সময়ে বহুল ব্যবহৃত ও দৈনন্দিন জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ন একটি যন্ত্র। বর্তমান যুগ ইনফরমেশন ও টেকনোলোজি নির্ভর হওয়ায় দিন দিন এর চাহিদা বেড়েই চলেছে।

কম্পিউটার (Computer) শব্দটি গ্রিক “কম্পিউট” (Compute) শব্দ থেকে এসেছে। Compute শব্দের অর্থ হিসাব বা গণনা করা। আর কম্পিউটার (computer) শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। কিন্তু এখন আর কম্পিউটারকে শুধু গণনাকারী যন্ত্র বলা যায় না। কম্পিউটার এমন একটি যন্ত্র যা তথ্য গ্রহণ করে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন করে। সভ্যতার বিকাশ এবং বর্তমানে তার দ্রুত অগ্রগতির মূলে রয়েছে গণিত ও কম্পিউটারের প্রবল প্রভাব।

কম্পিউটারের ইতিহাস: যুগে যুগে গণনার কাজে বিভিন্ন কৌশল ও যন্ত্র ব্যবহার করে থাকলেও অ্যাবাকাস (Abacus) নামক একটি প্রাচীন গণনা যন্ত্রকেই কম্পিউটারের ইতিহাসে প্রথম যন্ত্র হিসেবে ধরা হয়। এটি আবিষ্কৃত হয় খ্রিষ্টপূর্ব ২৪০০ সালে ব্যাবিলনে। ১৬৪২ সালে ১৯ বছর বয়স্ক ফরাসি বিজ্ঞানী ব্লেইজ প্যাসকেল সর্বপ্রথম যান্ত্ৰিক ক্যালকুলেটর আবিষ্কার করেন। তিনি দাঁতযুক্ত চাকা বা গিয়ারের সাহায্যে যোগ বিয়োগ করার পদ্ধতি চালু করেন। উনিশ শতকের শুরুর দিকে আধুনিক একটি যন্ত্রের নির্মাণ ও ব্যবহারের ধারণা প্রথম প্রকাশ করেন চার্লস ব্যাবেজ । তিনি এটির নাম দেন ডিফারেন্স ইঞ্জিন (Difference Engine)। ১৮৩৩ সালে এই ডিফারেন্স ইঞ্জিন নিয়ে কাজ করার সময় তিনি অ্যানালাইটিক্যাল ইঞ্জিন নামে আরও উন্নত ও সর্বজনীন একটি যন্ত্রের ধারণা দেন। ভাই চার্লস ব্যাবেজ কে কম্পিউটরের জনক বলা হয়। যদিও তিনি প্রয়োজনীয় যন্ত্র ও অর্থের অভাবে কোনোটির কাজই শেষ করতে পারেননি।

কম্পিউটার বিজ্ঞানের সত্যিকার সূচনা হয় অ্যালান টুরিং এর প্রথমে তাত্ত্বিক ও পরে ব্যবহারিক গবেষণার মাধ্যমে। বিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে আধুনিক কম্পিউটারের বিকাশ ঘটতে শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেল কর্পোরেশন ১৯৭১ সালে মাইক্রোপ্রসেসর উদ্ভাবন করার পর থেকে বাজারে আসতে শুরু করে মাইক্রোপ্রসেসর ভিত্তিক কম্পিউটার। তখন থেকে কম্পিউটারের আকৃতি ও কার্যক্ষমতায় এক বিরাট বিপ্লব সাধিত হয়। ১৯৮১ সালে বাজারে আসে আই.বি.এস কোম্পানির পার্সোনাল কম্পিউটার (Personal Computer) বা পিসি (PC)। এর পর উদ্ভাবিত হতে থাকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাইক্রোপ্রসেসর এবং তৈরি হতে থাকে শক্তিশালী পিসি । আই.বি.এম কোম্পানি প্রথম থেকেই আই.বি.এম কম্পোর্টেবল কম্পিউটার (IBM compatible computer) তৈরির ক্ষেত্রে কোনো বাধা-নিষেধ না রাখায় এ ধরনের কম্পিউটারগুলির মূল্য ব্যাপক হারে হ্রাস পায় এবং এর ব্যবহারও ক্রমাগত বাড়তে থাকে।

বাংলাদেশে কম্পিউটার ব্যবহারের সুচনা হয় ষাটের দশকে। পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশনের পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, ঢাকা-তে ১৯৬৪ সালে স্থাপিত হয় বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) প্রথম কম্পিউটার। এটি ছিল আই.বি.এম (International Business Machines IBM) কোম্পানির ১৯৬২ সিরিজের একটি মেইনফ্রেম (Mainframe Computer) কম্পিউটার । যন্ত্রটির প্রধান ব্যবহার ছিল জটিল পবেষণা কাজে গাণিতিক হিসাব সম্পন্নকরণ। নববই-এর দশকে কম্পিউটার এর ব্যবহার ব্যাপকতা লাভকরে। দর্শকের মধ্যভাগ থেকে এ দেশেতথ্য প্রযুক্তি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে।

কম্পিউটারের জনক: কম্পিউটার তৈরির প্রথম ধারণা দেন বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজ। ১৮৩৩ সালে সর্বপ্রথম এ্যানালটিক্যাল ইঞ্জিন (Analytical Engine) নামে একটি যান্ত্রিক Computer তৈরীর পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং ইঞ্জিনের নকশা তৈরী করেন। পরবর্তীকালে তাঁর তৈরি নকশা ও কম্পিউটারের ওপর ভিত্তি করেই আজকের আধুনিক কম্পিউটার তৈরি করা হয়। তার এই এ্যানালটিক্যাল ইঞ্জিনের পরিকল্পনায় আধুনিক কম্পিউটারের ধারণা ছিল বলেই চার্লস ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়।

অন্যদিকে, জন ভন নিউম্যানকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়। তিনি একজন হাঙ্গোরীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন গণিতবিদ। নিউম্যান কোয়ান্টাম বলবিদ্যায় অপারেটর তত্ত্বব্যবহারের অগ্রদূত। তিনি সেটতত্ত্ব, জ্যামিতি, প্রবাহী গতিবিদ্যা, অর্থনীতি, যোগাশ্রয়ীপ্রোগ্রামিং, কম্পিউটার বিজ্ঞান, পরিসংখ্যান সহ আরো অনেক ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটারের নাম হচ্ছে ENIAC (Electronic Numerical Integrator and Com - puter)। এটিই প্রথম প্রোগ্রাম নিয়ে কাজকরার ডিজিটাল কম্পিউটার। এর পর থেকেই মূলত কম্পিউটার প্রজন্ম শুরু হয়।

 

 

Content added By

কম্পিউটার সাধারণত দুইটি মাধ্যমের সমন্বয়ে কাজ সম্পাদন করে থাকে। নিচে উদাহরণ সহকারে আলোচনা করা হলো।

প্রথমত-হার্ডওয়্যার: কম্পিউটারের বাহ্যিক আকৃতিসম্পন্ন সকল ভৌত যন্ত্র, যন্ত্রাংশ ও ডিভাইস সমূহকে হার্ডওয়্যার বলে। কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার আবার তিনভাগে ভাগ করা যায়। 

ক) ইনপুট যন্ত্রপাতি: কী-বোর্ড, মাউস, ডিস্ক, স্ক্যানার, কার্ড রিডার, ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি। 

খ) সিস্টেম ইউনিট: হার্ড ডিস্ক, মাদারবোর্ড, এজিপি কার্ড, র‍্যাম ইত্যাদি। 

গ) আউটপুট যন্ত্রপাতি: মনিটর, প্রিন্টার, ডিস্ক, স্পিকার, প্রোজেক্টর, হেড ফোন ইত্যাদি।

দ্বিতীয়ত-সফটওয়্যার: সমস্যা সমাধান বা কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে কম্পিউটারের ভাষায় ধারাবাহিকভাবে সাজানো নির্দেশমালাকে প্রোগ্রাম বলে। প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রাম সমষ্টি যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও ব্যবহারকারীর মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে হার্ডওয়্যার কার্যক্ষম করে তাকেই সফটওয়্যার বলে। কম্পিউটারের সফটওয়্যারকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। 

ক) সিস্টেম সফটওয়্যার : সিস্টেম সফটওয়্যার কম্পিউটারের বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে কাজের সমন্বয় রক্ষা করে ব্যবহারিক প্রোগ্রাম নির্বাহের জন্য কম্পিউটারের সামর্থ্যকে সার্থকভাবে নিয়োজিত রাখে। 

খ) অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার : ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান বা ডেটা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত প্রোগ্রামকে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলে। ব্যবহারিক সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক রকম তৈরি প্রোগ্রাম বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে পাওয়া যায়, যাকে সাধারণত প্যাকেজ প্রোগ্রামও বলা হয়। সুতরাং একটি কম্পিউটার হল হার্ডওয়্যারও সফটওয়্যার এর যৌথ সমন্বয়। 

 

 

Content added || updated By

কম্পিউটার সিস্টেম হলো কতগুলো ইন্টিগ্রেটেড উপাদানের সম্মিলিত প্রয়াস যা কিছু সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কাজ করে। কম্পিউটার সিস্টেমের উপাদানগুলোতে রয়েছে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ছাড়াও, হিউম্যানওয়্যার বা ব্যবহারকারী, ডেটা বা ইনফরমেশন, অপারেটিং সিস্টেম।

হিউম্যানওয়্যার বা ব্যবহারকারী: 

ডেটা সংগ্রহ, প্রোগ্রাম বা ডেটা সংরক্ষণ ও পরীক্ষাকরণ, কম্পিউটার চালানো তথা প্রোগ্রাম লিখা, সিস্টেমগুলো ডিজাইন ও রেকর্ড লিপিবদ্ধকরণ এবং সংরক্ষণ, সফট্ওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের মধ্যে সমন্বয় সাধন ইত্যাদি কাজগুলোর সাথে যুক্ত সকল মানুষকে একত্রে হিউম্যানওয়্যার (Humanware) বলা হয়।

ভেটা বা ইনফরমেশন: 

ইনফরমেশন বা তথ্যের ক্ষুদ্রতম একক কে ডেটা বলে। ডেটা হল সাজানো নয় এমন কিছু বিশৃঙ্খল ফ্যাক্ট (Raw Fact) ডেটা প্রধানত দুই রকম - 

(ক) নিউমেরিক (Numeric) ডেটা বা সংখ্যাবাচক ডেটা। যেমনঃ ২৫,১০০,৪৫৬ ইত্যাদি। 

(খ) অ-নিউমেরিক (Non-Numeric) ভেটা। যেমন: মানুষ, দেশ, জাতি ইত্যাদির নাম, জীবিকা, কিংবা ছবি, শব্দ ও তারিখ প্রভৃতি।

অপারেটিং সিস্টেম: 

অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে এমন একটি সফটওয়্যার যা কম্পিউটার প্রোগ্রামের এক্সিকিউশনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং যা সিডিউলিং, ডিবাগিং, ইনপুট/আউটপুট কন্ট্রোল, একাউন্টিং, কম্পাইলেশন, স্টোরেজ অ্যাসাইনমেন্ট, ডেটা ম্যানেজমেন্ট এবং আনুষঙ্গিক কাজ করে থাকে। বর্তমানে মাইক্রো কম্পিউটার বা পিসিতে বহুল ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেমগুলো হলো - ডস, উইন্ডোজ ৯৫, উইন্ডোজ ৯৮, উইন্ডোজ ২০০০, ইউনিক্স, উবুন্টু, মিন্ট ডেবিযান, ফেডোরা, ম্যাক ওএসএক্স, উইন্ডোজ এক্সপি, উইন্ডোজ ভিস্তা, উইন্ডোজ ৭, উইন্ডোজ ৮, উইন্ডোজ ৮.১, উইন্ডোজ ১০, উইন্ডোজ ১১, লিনাক্স ইত্যাদি।

 

 

Content added By

কম্পিউটারের রয়েছে প্রচুর ব্যবহার। মানুষ তার কাজের উন্নয়নের জন্য কম্পিউটারকে কাজে লাগায়। তাই দিন দিন কম্পিউটারের ব্যবহার বেড়েই চলছে। নিচে কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরণের ব্যবহার তুলে ধরা হল-

১. অফিস ব্যাবস্থাপনা  

২. শিক্ষা ক্ষেত্রে 

৩. শিল্প ক্ষেত্রে  

৪. চিকিৎসা ক্ষেত্রে  

৫. কৃষি ক্ষেত্রে

৬. গবেষণায  

৭. সামরিক ক্ষেত্রে 

৮. তথ্য পরিসংখ্যানে  

৯. মুদ্রণ শিল্পে 

১০. মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তি 

 

১১. ডিজাইনে

১২. প্রোগামিং

 ১৩. যোগাযোগ ব্যবস্থায়

১৪. ব্যাংকিং জগতে

১৫. সংস্কৃতি ও বিনোদনে 

১৬. আদালত

১৭. অর্থবাজারে

১৮. আবহাওয়ার পূর্বাভাসে 

১৯. ভূগোলে- GISও GPS প্রযুক্তি 

২০. মানচিত্র অংকনে

 

 

Content added By

কম্পিউটারের গঠন ও প্রচলন নীতির ভিত্তিতে একে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- 

১. এনালগ কম্পিউটার 

২. ডিজিটাল কম্পিউটার 

৩. হাইব্রিড কম্পিউটার

আকার, সামর্থ্য, দাম ও ব্যবহারের গুরুত্বের ভিত্তিতে ডিজিটাল কম্পিউটারকে আবার চার ভাগে ভাগ করা যায় । 

১. মাইক্রোকম্পিউটার 

২. মিনি কম্পিউটার 

৩. মেইনফ্রেম কম্পিউটার 

৪. সুপার কম্পিউটার

মাইক্রো কম্পিউটারগুলোকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। 

১. ডেস্কটপ 

২. ল্যাপটপ

নিচে কম্পিউটারের পূর্ণাঙ্গ শ্রেণীবিভাগ দেখানো হলো:

এনালগ কম্পিউটার 

যে কম্পিউটার একটি রাশিকে অপর একটি রাশির সাপেক্ষে পরিমাপ করতে পারে,তাই এনালগ কম্পিউটার বলে। এটি উষ্ণতা বা অন্যান্য পরিমাপ যা, নিয়মিত পরিবর্তিন হয় তা রেকর্ড করতে পারে। মোটর গাড়ির বেগ নির্ণায়ক যন্ত্র এনালগ কম্পিউটারের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

ডিজিটাল কম্পিউটার 

ডিজিটাল কম্পিউটার দুই ধরনের বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ দ্বারা সকল কিছু প্রকাশ করাতে পারে। ভোল্টেজের উপস্থিতিকে ১ এবং অনুপস্থিতিকে ০ দ্বারা প্রকাশ করা হয়,এটি যে কোন গণিতের যোগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে এবং বিয়োগ,গুণ ও ভাগের মতো অন্যান্য অপারেশন সম্পাদন করে। আধুনিক সকল কম্পিউটার ডিজিটাল কম্পিউটার।

হাইব্রিড কম্পিউটার 

হাইব্রিড কম্পিউটার হলো এমন একটি কম্পিউটার যা এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের সর্বোত্তম বৈশিষ্ট্যগুলোর সমন্বয়ে গঠিত। এটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যবহার করা হয়। সুতরাং বলা যায়, প্রযুক্তি ও ভিত্তিগত দিক থেকে এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের আংশিক সমন্বয়ই হচ্ছে হাইব্রিড কম্পিউটার। সাধারণত হাইব্রিড কম্পিউটারে তথ্য সংগ্রহ করা হয় অ্যানালগ পদ্ধতিতে এবং গণনা করা হয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে। যেমন আবহাওয়া দপ্তরে ব্যবহৃত হাইব্রিড কম্পিউটার এনালগ পদ্ধতিতে বায়ুচাপ,তাপ ইত্যাদি পরিমাপ করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে গণনা করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে থাকে।

মেইনফ্রেম কম্পিউটার 

মেইনফ্রেম কম্পিউটার (কথ্য ভাষায় "বড় কম্পিউটার”) গুলি প্রধানত গুরুত্বপূর্ণ এবং বড় অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ব্যবহার করে, যেমন জনসংখ্যা, শিল্প এবং ভোক্তা পরিসংখ্যান, এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স পরিকল্পনা এবং লেনদেন প্রক্রিয়া জাতকরণ।

মিনি কম্পিউটার 

যে কম্পিউটার টার্মিনাল লাগিয়ে প্রায় এক সাথে অর্ধ শতাধিক ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে তাই মিনি কম্পিউটার। এটা শিল্প-বাণিজ্য ও গবেষণাগারে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন- pdp-11, ibms/36, ncrs/9290,

মাইক্রো কম্পিউটার 

মাইক্রো কম্পিউটারকে পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি বলেও অভিহিত করা হয়।ইন্টারফেসচিপ (Mother Board), একটি মাইক্রোপ্রসেসর, সিপিইউ, র‍্যাম, রম, হার্ডডিস্ক ইত্যাদি সহযোগে মাইক্রো কম্পিউটার গঠিত হয়। দৈনন্দিন জীবনের সর্বক্ষেত্রে এ কম্পিউটারের ব্যবহার দেখা যায়। মাকিনটোস আইবিএম পিসি এ ধরনের কম্পিউটার।

সুপার কম্পিউটার 

অত্যন্ত শক্তিশালী ও দ্রুতগতিসম্পন্ন কম্পিউটারকে সুপার কম্পিউটার বলে। এ কম্পিউটারের গতি প্রায় প্রতি সেকেন্ডে ১ বিলিয়ন ক্যারেক্টর। কোনো দেশের আদমশুমারির মতো বিশাল তথ্য ব্যবস্থাপনা করার মতো স্মৃতিভাণ্ডার বিশিষ্ট কম্পিউটার হচ্ছে সুপার কম্পিউটার। CRAY 1, supers xll এ ধরনের কম্পিউটার।

ট্যাবলেট কম্পিউটার 

ট্যাবলেট কম্পিউটার এক ধরনের মাইক্রো কম্পিউটার। যা পাম টপ কম্পিউটার নামে পরিচিত। এটি স্পর্শ পর্দা সংবলিত প্রযুক্তি। এটি এনড্রয়েড এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলে।

 

 

Content added By

অটোক্যাড (AutoCAD) বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত একটি নাম। ডিজাইন সফটওয়্যার (Design Software) হিসেবে এর জুড়ি মেলা ভার। যে কোন প্রকার স্কেল ড্রয়িং এর ক্ষেত্রে অটোক্যাড এর বিকল্প হয় না। বিভিন্ন জ্যামিতিক কিংবা গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেইস অটোক্যাডের অনন্য বৈশিষ্ট্য।

অন্যভাবে বলতে গেলে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িং প্রোগ্রামের নাম অটোক্যাড যা অত্যন্ত বন্ধুত্বসুলভ এবং ব্যবহার বান্ধব। সহজকরে বললে, অটোক্যাড একটি গ্রাফিক্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন সফটওয়্যার।বিভিন্ন প্রকারের লগো ডিজাইন, এমব্রয়ডারী ডিজাইন এবং গ্রীল ডিজাইন, আর্কিটেকচারাল ড্রয়িং, স্ট্রাকচারাল ড্রয়িং, মেকানিক্যাল ড্রাফটিং-এ অটোক্যাডের রয়েছে একক আধিপত্য।অটোক্যাডকে কম্পিউটারের সাহায্যে নকশা অংকন পদ্ধতি হিসেবেও ধরা হয়। ২ডি (২D)এবং ৩ডি (3D) উভয় প্রকারেই অটোক্যাড বিশেষভাবে কাজে লাগে।কিবোর্ড, মাউস এবং ড্রয়িং প্যাড ব্যবহার করে সহজেই নকশা অংকন করা যায়। অনেক টুলস বিল্টইন থাকে বলে আমরা এর সাহায্যে খুব সহজেই অংকনের কাজগুলো করতে পারি।

ইনফরমেশন সিস্টেমে ব্যাপকভাবে ক্যাড এর ব্যবহার হয়ে থাকে। পণ্যে নকশা করতে এক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের ক্যাড সফটওয়্যারসমূহ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এগুলোর মাধ্যমে সুন্দরভাবে পণ্যের নকশা করা সম্ভবপর হয়। শুধু তাই নয় পণ্যের নকশা করার পর সেটিতে ভুল রয়েছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য কম্পিউটারগুলোতে কম্পিউটার এইডেড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএই) পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

 

 

Content added || updated By

CAD এর পূর্ণরূপ হলো Computer Aided Designঃ অটোক্যাড (Auto CAD) হলো বিশ্বসমাদৃত একটি পাওয়ারফুল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন সফটওয়্যার। ক্যাড হল কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন নকশা প্রণয়ন, সম্পাদনা, বিশ্লেষণের কাজে ব্যবহৃত একক সফটওয়্যার বা সফটওয়্যারের সমষ্টি। ক্যাড সফটওয়্যারের মাধ্যমে দ্বিমাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক উভয় প্রকার নকশাই প্রণয়ন সম্ভব।রেখা বা লাইনের সাহায্যে নকশা বা ডিজাইনের কাজ করার জন্য ব্যবহারিক প্রোগ্রাম হলো ক্যাড(CAD).CAD দ্বারা Copmuter সাহায্যে Design এবং Drafting করা হয়। এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে বাড়ির নকশা থেকে শুরু করে ব্রীজ-কালভার্টের নকশাসহ প্রকৌশল ও স্থাপত্যবিদ্যার যে কোন জটিল নকশা খুব সহজে, কম সময়ে এবং নিঁখুতভাবে তৈরি করা যায়। ক্যাডের সাহায্যে নকশা অংকনের ক্ষেত্রে মাইক্রোমিলিমিটার পর্যন্ত মাপ নিঁখুতভাবে করা যায়, , ফলে মেকানিক্যাল ড্রাফটিং এর নিঁখুত পরিমাপ সমৃদ্ধ জটিল ড্রয়িং এর ক্ষেত্রে এটি এনেছে আমুল পরিবর্তন যা হাতে অংকনের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। মাইক্রোকম্পিউটারে ব্যবহারের জন্য অটোক্যাড (Auto- CAD), ফাস্টক্যাড (FastCAD), টার্বোক্যাড (Turbo CAD), মেগাক্যাড (Mega CAD) ইত্যাদি ব্যবহারিক প্রোগ্রাম আছে তারমধ্যে অটোক্যাড সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।

 

 

Content added By

এটির মাধ্যমে টু-ডি ও থ্রি-ডি উভয় ধরনের অবজেক্ট তৈরি করা যায়। তবে টু-ডি অবজেক্ট তৈরি করে পরবর্তীতে একে থ্রিডি তে রূপান্তরিত করা যায়। অটোক্যাড এ তৈরিকৃত ডিজাইনকে থ্রিডিতে রূপান্তর করার 3D Studio Max, Maya ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের থ্রিডি প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হয়। আবার অটোক্যাড এ সরাসরি থ্রিডি ডিজাইন তৈরি করা যায়। AutoCAD এ থ্রিডি অপেক্ষা টু-ডিতে কাজ করা সহজ। অটোক্যাড এ আমরা যা কিছুই ড্রইং বা ডিজাইন করি না কেন এর ইন্টারফেস সর্ম্পকে ধারণা অর্জন করা প্রয়োজন। অটোক্যাড এর বিভিন্ন প্যাকেজ বর্তমানে বাজারে আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সহজ ও সুবিধাজনক প্যাকেজ হলো AutoCAD 2007 .

 

Content added By

ক্যাড-ক্যাম প্রযুক্তি হলো ম্যানুফ্যাকচারিং অটোমেশনের নামে বহু দশকের অবদানের সমাপ্তি। এটি উদ্ভাবক, গণিতবিদ এবং যন্ত্রবিদগণের ভিশন। এটি ভবিষ্যতে রূপদানের জন্য এবং প্রযুক্তির সাহায্যে উৎপাদন কার্য চালনার জন্য ব্যবহৃত একটি সফটওয়্যার।

‘’ক্যাড-ক্যাম" শব্দটি সাধারণত সিএনসি মেশিন (CNC Machine) এর সাহায্যে নকশা ও যন্ত্রচালনা বা উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত একটি সফটওয়্যার। মডেল তৈরির জন্য জ্যামিতিক আকার ব্যবহার করে ডিজাইন এবং অঙ্কন করে দ্রব্য তৈরি করতে ক্যাড-ক্যাম সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। ক্যাড-ক্যাম (CAD-CAM) হচ্ছে কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন এবং কম্পিউটার এইডেড ম্যানুফ্যাকচারিং এর সংক্ষিপ্ত রুপ ।

 

Content added By

1. AutoCAD 

2. FreeCAD 

3. Creo CAD 

4. TinkerCAD

5. IronCAD 

6. LibreCAD  

7. CATIA 

8. SOLIDWORKS 

9. Autodesx Inventor 

10. 3d studio Max (3DS Max ) 

11. Draft Sight 

12. Fusion 360 

13. Open SCAD 

14. SketchUp 

15. Onshape  

16. Teamcenter 

17. PTC creo, 

18. Maya 

এছাড়াও আরো অনেক ক্যাড সফ্টওয়্যার রয়েছে।

Content added By

ক্যাড প্রযুক্তি প্রয়োগের ফলে বর্তমানে ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িং এবং ডিজাইনের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। ড্রয়িং এবং ডিজাইনের ক্ষেত্রে একদিকে যেমন সময়ের সাশ্রয় হয়েছে অন্যদিকে এসব ক্ষেত্রে নির্ভুল নির্ভরতা ও গ্রহনযোগ্যতা বেড়েছে। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে ক্যাড সফটওয়্যারের পাশাপাশি আরও একটি সফটওয়্যার অত্যন্ত জনপ্রিয় তা হল ক্যাম সফটওয়্যার। ক্যাম(CAM)- কম্পিউটার এইডেড ম্যানুফ্যাকচারিং। ক্যাড/ক্যাম এর সংমিশ্রণ এই দুটিক্ষেত্রেই শক্তিশালী কম্পিউটারের প্রয়োজন। ক্যাড সফটওয়্যারটি ডিজাইনার এবং ড্রাফটসম্যানদের সহায়তা করে আর ক্যাম উৎপাদন প্রক্রিয়াজনিত ব্যয় হ্রাস করে।

ক্যাড সফটওয়্যার ব্যবহারের সুবিধা: নিচে ক্যাড সফটওয়্যার ব্যবহারের সুবিধা সমুহ সংক্ষেপে তুলে ধরা হল- 

১। ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোডাকটিভিটির বৃদ্ধি ঘটায় 

২। লীড সময় হ্রাস করে। 

৩। ডিজাইনের নির্ভুলতা বৃদ্ধি করে।

৪। ডিজাইন অধিক স্ট্যান্ডার্ড হয়। 

৫। পরিমাপে সঠিকতা বৃদ্ধি পায়। 

৬। ডিজাইন ড্রাফটিং এবং ডকুমেনটশন পদ্ধতির প্রমিতকরণ।

এ ছাড়াও অটোক্যাড সফটওয়্যার ইনটেরিয়র ডিজাইনার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, প্রোসেস ড্রাফটার, সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করে থাকে। আবার ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যারা কাজ করেন তাদের মধ্যে ও অনেকেই এই সফটওয়্যারের ব্যবহার করে থাকেন।

অটোক্যাড সফটওয়্যারটি ব্যবহারকারীর অত্যন্ত বন্ধুত্বসুলভ সফটওয়্যার এবং এটি সবার জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ C+ দিয়ে তৈরি। যার সহায়তায় ডিজাইনার ও ইঞ্জিনিয়াররা সহজেই দ্বি-মাত্রিক (2D) এবং ত্রি- মাত্রিক (3D) ডিজাইন তৈরি করতে পারে এবং যে কোনো যন্ত্রের স্থানান্তরযোগ্য পার্টস ডিজাইন করতে পারে। বর্তমানে স্থাপত্য প্রকৌশল শিল্প ও ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ এর ক্ষেত্রে অটোক্যাড গুরুত্বপূর্ন স্থান করে নিয়েছে। যারা ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যারিয়ার শুরু করছেন বা করবেন অথবা আগে থেকেই এই ক্ষেত্রে আছেন তাদের ইন্জিনিয়ার হিসেবে নিজস্ব কাজের ক্ষেত্রে অবস্থান দৃঢ় করার জন্য অটোক্যাড এর পরিপূর্ন ব্যবহার জানা অবশ্যই জরুরী।

অটোক্যাড ব্যবহারের সুবিধাসমূহ নিম্নে বিষদ ভাবে আলোচনা করা হল-

ডিজাইন করা 

ইন্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে যে কোনো প্রকার ডিজাইন করা বা প্রটোটাইপিং একটি সময় সাপেক্ষ ও কঠিন বিষয়। অন্যদিকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন পার্টসের সমন্বয়ে একটি যন্ত্র তৈরি করতে হয় সেজন্য কাগজে ডিজাইন অনেকটাই জটিল।

অটোক্যাডের সাহায্যে সহজেই ডিজাইনের জটিল বিষয়গুলো পরীক্ষা করে দেখা যায় 2D ও 3D ব্যবহার করে যার, ফলে সত্যিকারের স্থাপনা তৈরির আগেই এর পরিপূর্ন ডিজাইন তৈরি করে নেওয়া যায় এবং ডিজাইনের পরিমাপও ঠিক পাওয়া যায়। অটোক্যাড ব্যবহার করে সহজেই ডিজাইনের ভুল বের করা যায়।

অর্থের সাশ্রয় 

ইন্জিনিয়ারিং কাজের ক্ষেত্রে ডিজাইন সহ বিভীন্ন প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বাস্তবে অনেক ব্যয়বহুল সত্যিকারের স্থাপনা বা যন্ত্রপাতির ওপর পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। যা অটোক্যাড ব্যবহার করে নিমিষেই সমাধান করা সম্ভব এর ফলে সহজেই একজন ডিজাইনার তার ডিজাইনের বিভিন্ন অংশ পরিবর্তন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পরেন। এতে যেমন তার ডিজাইনের নতুনত্ব আসে তেমনি অর্থেরও সাশ্রয় হয়।

সময়ের অপচয় 

কম বাস্তবে সত্যিকার নমুনা বা প্রটোটাইপ তৈরি করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন কিন্তু অটোক্যাড ব্যবহার করে অতি অল্প সময়েই যে কোনো কিছুরই নমুনা ডিজাইন তৈরি করে ফেলা যায় এবং ডিজাইনটির বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দিক পরিবর্তন খুব সহজেই ও দ্রুততার সাথে করে ফেলা যায়। যা ডিজাইনারদের অনেক মূল্যবান সময় বাঁচাতে সাহায্য করে।

কমিউনিকেশন ও একত্রীকরণ 

ডিজিটাল ফরম্যাট এ ডিজাইনকৃত মডেল সংরক্ষন করে একাধিক ইঞ্জিনিয়ার একটি ডিজাইন এর ওপর কাজ করে ডিজাইনটিকে পরিপূর্ন করতে পারে এবং অন্য যে কোনো ব্যক্তির কাছেও সহজেই তা পাঠাতে পারে। বিশ্বায়নের এই যুগে অটোক্যাড এর মাধ্যমে একজন ডিজাইনার সহজেই অন্য ডিজাইনারের সাথে তার ডিজাইনটির বিভিন্ন অংশ নিয়ে আলোচনা করতে পারে এবং বিভিন্ন ধারনার সমন্বয়ে একটি পরিপূর্ন ডিজাইন তৈরি করা অনেক সহজ হয়।

নিজেদের সুবিধার জন্যই ইঞ্জিনিয়ার ও ডিজাইনারদের অটোক্যাড শেখা উচিৎ। আমাদের দেশে কাজের পাশাপাশি অটোক্যাডের মাধ্যমে বহির্বিশ্বেও ইঞ্জিনিয়ার ও ডিজাইনারদের কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে।

 

 

Content added By

অটোক্যাড (AutoCAD) একটি গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার। CAD Softwire Install করা যদিও সহজ কাজ তথাপি এ বিষেয়ে পরিষ্কার ধারনা থাকা ভাল। প্রায় প্রতিটি সফটওয়্যার-এ ইনস্টলেশন উইজার্ড থাকে। উইজার্ড নির্দেশনা অনুসরন করে অতি সহজে সফটওয়্যার ইনস্টলেশন করা যায়। ইনস্টলেশন করার আগে যা জানা প্রয়োজন তা হল কম্পিউটার ক্যাপাসিটি এবং সফটওয়্যার-এর ইনস্টলেশন চাহিদা। এ অধ্যায় আমরা কম্পিউটার ক্যাপাসিটি, সফটওয়্যার ইনস্টলেশন, অটোক্যাড চালুকরা/ওপেন করা ক্লোজ করা, ড্রাফটিং সেটিং ও ডায়মেনশন সেটিং সম্পর্কে শিখবো।

Content added By

যে কোনো সফটয়্যার ইনস্টলেশনের আগে কম্পিউটার ক্যাপাসিটি সম্পর্কে জানা দরকার। কম্পিউটার ক্যাপাসিটি সম্পর্কে জানতে ডেস্কটপের My Computer আইকনের উপর Right Click করে Properties ওপেন করলে কম্পিউটার ক্যাপাসিটি জানা যাবে। একইভাবে হার্ড ডিস্ক ক্যাপাসিটি জানতে My Computer আইকনের উপর ডাবল ক্লিক করে ড্রাইভ গুলি ওপেন করে এদের Properties দেখলে হার্ডডিক্স ক্যাপাসিটি জানা যাবে।কম্পিউটার ক্যাপাসিটির প্রধান প্রধান জানার বিষয়গুলো হলো- 

১. অপারেটিং সিস্টেম 

২. প্রসেসর (Processor) 

৩. র‍্যাম (RAM) 

৪. রম (ROM) 

৫. হার্ড ডিস্ক

সাধারনত অটোক্যাডের সফটওয়্যার ইন্সটল করার জন্য খুববেশী কনফিগারেশনের কম্পিউটারের প্রয়োজন হয়না। Core i2 CPU, 2GB RAM এবং 32bit বা সমমানের কনফিগারেশনের কম্পিউটার হলে চলে তৰে অটোক্যাডে সফটওয়্যারটি যেহেতু একটি ভারি সফটওয়্যার তাই ভাল স্পীড পেতে হলে 64 bit সহ বেশী কনফিগারেশনের কম্পিউটার ব্যবহার করতে হয়।

 

 

Content added By

অটোক্যাড সফটওয়্যার ইনস্টলেশন Auto CAD Software Installation)

অটোক্যাড সফটওয়্যার ইনস্টলেশনের আগে তার সিস্টেম চাহিদা দেখে নিতে হবে। Auto CAD Mechanical System Requirments:

সফটওয়্যার ইনস্টলেশনের জন্য সিস্টেমের চাহিদা মোতাবেক সাপোর্ট করার মত কম্পিউটার ক্যাপাসিটি থাকলেই সফটওয়্যার ইনস্টল করা যাবে।অটোক্যাডের প্রোগ্রামিং ভাষা AutoLISP ব্যবহার করে ক্ষেত্র বিশেষে কোন কোন কাজ সহজ করা যায়। AutoCAD Mechanical Softwareটি Install করার জন্য 64 bit এর কম্পিউটার ও 11.6GB মেমোরি খালি থাকতে হবে ।

 

 

Content added || updated By

অটোক্যাড সফটওয়্যার ইন্সটল করার জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম অনুসরন করতে হয়। এখানে AutoCAD Mechanical-2023 সফ্টওয়্যারটি ইন্সটল করার ধাপ সমূহ বর্ণনা করা হল-

পারদর্শিতার মানদন্ড : 

১. স্বাস্থ বিধি মেনে ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা পোষাক (পিপিই) পরিধান করা; 

২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা; 

৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, মেটেরিয়ালস ও ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ ও প্রস্তুত করা; 

৪. কাজের নিমিত্তে কম্পিউটার অন করা; 

৫. কাজের ধাপ অনুসরন করে অটোক্যাড ইন্সটল করার প্রস্তুতি গ্রহন করা; 

৬. কাজের ধাপ অনুসরন করে অটোক্যাড ইন্সটলেশন সম্পন্ন করা; 

৭. কাজের শেষে যথানিয়মে কম্পিউটার সাটডাউন করা; 

৮. কাজের স্থান ও যন্ত্রপাতি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং 

৯. চেক লিষ্ট অনুযায়ী যথা স্থানেসংরক্ষন করা;

 

ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (PPE):

 

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ( Required Equipment) :

ইন্সটলেশনের ধাপ: 

১. প্রথমেই কম্পিউটারের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। 

২. এক্টিভেট (Activate) সফটওয়্যার গুলিকে ঐ সময়ের জন্য ডি- এক্টিভেট (De-Activate) করে দিতে হবে।

৩. উইন্ডোজ রিয়েল টাইম প্রোটেকশানকে ট্রান অন করে দিতে হবে । 

৪. কম্পিউটারে কোন এন্টিভাইরাস এক্টিভেট থাকলে সেটিকে ডি-এক্টিভেট করে দিতে হবে এখন কম্পিউটার AutoCAD সফ্টওয়্যারটি ইন্সটল করার জন্য রেডি হয়ে গেল । 

৫. AutoCAD Mechanical-2023-> Double Click

Setup File →→→→→ Double Click

৬. Do you want to allow this app to make changes to your device → Yes

৭. Yes click করলে নিচের চিত্রের মত Installing লিখা বক্স আসবে এবং Instil সম্পন্ন হবে ইন্সটলেশন সম্পন্ন হওয়ার পূর্বে কম্পিউটার রি-স্টার্ট নিবে এবং স্কিনে AutoCAD 

Mechanical- 2023 এর আইকনটি দেখা যাবে।

৮. AutoCAD Mechanical-2023 এর আইকনের উপর ডাবল ক্লিক করলে AutoCAD ওপেন হবে । AutoCAD ওপেন হলে এটি কাজ না করে সিরিয়াল নাম্বার চাইবে। এখন আবার AutoCAD এর ফুল ফাইলে গিয়ে Crack ফাইলে ক্লিক করে acad ফাইলটি কপি করতে হবে

৯. এরপর ফুল স্কিনে এসে AutoCAD Mechanical-2023 আইকনের উপর রাইট ক্লিক করেলে Open tab / open file location -এ গিয়ে Copy করা acad ফাইলটি past করতে হবে।

১০. acad ফাইলটি past করার পর Auto CAD Mechanical- 2023 সফটওয়্যারটি কাজ করার জন্য রেডি হয়ে যাবে, আর এর মাধ্যমে শেষ হবে Instalation এর কাজটি। 

১১. এখন স্কিনে AutoCAD Mechanical-2023 এর আইকনের উপর ডাবল ক্লিক অথবা রাইট বাটন ক্লিক করে এর Open বাটনের উপর ক্লিক করলে এটি চালু হয়ে যাবে।

 

সতর্কতা: 

১. কাজের সময় মাস্ক ব্যবহার করবো। 

২. কাজের সময় সঠিক নিয়মে বসবো। 

৩. ড্রয়িং করার স্থানে পর্যাপ্ত লাইটিং এর ব্যবস্থা করে নিবো। 

৪. কাজের সময় কম্পিউটার হতে নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে বসবো। 

৫. প্রয়োজন হলে চোখের নিরাপত্তার জন্য সেফটি গগলস পরবো । 

৬. কাজের সময় ইউ.পি.এস এর সার্পোট/ল্যাপটপ এর বেটারি চার্জ চেক করে নিবে।

অর্জিত দক্ষতা: 

অটোক্যাড ইন্সটল করার দক্ষতা অর্জন হয়েছে। যা ৰান্তৰ ক্ষেত্রে যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করা সম্ভৰ হবে।

 

 

Content added By

অটোক্যাড ইন্সটল করার পর চালুকরার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে। অটোক্যাড মোটামোটি দুই ভাবে ওপেন বা চালুকরা যায় এর মধ্যে একটি হচ্ছে স্টার্ট মেনু থেকে অটোক্যাড চালুকরার পদ্ধতি অন্যটি হল আইকনের সাহায্যে অটোক্যাড চালুকরার পদ্ধতি। পরবর্তি আর্টিক্যাল দুটিতে এই পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

Content added || updated By

স্টার্ট মেনু থেকে অটোক্যাড চালুকরতে প্রথমে টাস্কবারে স্টার্ট মেনুতে ক্লিক করতে হবে। Start Menu তে Clickকরলে All Program মেনুটি দেখাবে, এটিতে ক্লিক করলে নিচের চিত্রের মত All Program এর একটি তালিকা দেখাবে।

উক্ত তালিকা থেকে Auto CAD Mechanical-2023 প্রোগ্রামটি নির্বাচন করতে হবে। এর পর নিচের চিত্রের মত একটি ডায়ালগ বক্স দেখাবে, সেখান থেকে Auto CAD Mechanical- 2023 English এর উপর ক্লিক করলেই প্রোগ্রামটি চালু হয়ে যাবে।

এটি শুরু হলে একটি ডায়ালগ বক্স দেখা যাবে। যখন প্রথম অটোক্যাড শুরু হবে তখন নিচের চিত্রের মত স্টার্টআপ ডায়ালগ বক্স প্রদর্শিত হবে ।

 

 

Content added By

আইকনের সাহায্যে অটোক্যাড চালুকরার পদ্ধতি নিম্নে আলোচনা করা হল। এই ক্ষেত্রে Auto CAD Mechanical-2023 বেছে নেয়া হয়েছে যদিও প্রায় সকল ভারশনের চালুকরার পদ্ধতি একি রকম।

প্রথমেই কম্পিইটার স্কিন থেকে Auto CAD Mechanical - 2023 আইকনে ক্লিক করে মূল পেইজে প্রবেশ করতে হবে। মূল পেইজে প্রবেশ করলে Start Drawingঅপসনটি দেখতে পাবে। এবার Start Drawing অপসনটিতে ক্লিক রলে Auto CAD এর মূল ইন্টার পেইজটি চলে আসবে । মূল ইন্টার পেইজটিতে প্রবেশ করার পর কিছু গ্রীড লাইন দেখা যাবে সেগুলি রিমোভ করে দিতে হবে।

Auto CADএর এই পেইজ টি এখনও কাজ করার উপযোগী নয়, এটিকে কাজ করা উপযোগী করতে হলে কোন Unit ও কোনDrawing Style এ কাজ করবে তা ঠিক করে নিতে হবে। এটিকে বলে Page Satup | Auto CAD এ ড্রয়িং শুরু করার আগে Page Satup এর কাজটি করে নিতে হয়।

 

 

Content added || updated By

অটোক্যাড সফাটওয়্যার ইন্সটল করার পরে কাজ হল এটি Open করা। AutoCAD Mechanical-2023 Openনিয়ম নিচে তুলে ধরা হল-

পারদর্শিতার মানদন্ড : 

১. স্বাস্থ বিধি মেনে ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা পোষাক (পিপিই) পরিধান করা; 

২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা; 

৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, মেটেরিয়ালস ও ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ ও প্রস্তুত করা; 

৪. কাজের নিমিত্তে কম্পিউটার অন করা; 

৫. কাজের ধাপ অনুসরণ করে অটোক্যাড এর Interface এর Interplate তৈরী করতে পারব। 

৭. কাজের শেষে যথানিয়মে কম্পিউটার সাটডাউন করা; 

৮. কাজের স্থান ও যন্ত্রপাতি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং 

৯. চেক লিষ্ট অনুযায়ী যথাস্থানে সংরক্ষন করা;

ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম(PPE):

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (Required Equipment) :

 

কাজের ধাপ: 

১. AutoCAD Mechanical-2023 Open করার জন্য প্রথমে এটির আইকনের উপর ডাবল ক্লিক করলে নিচের চিত্রের মত একটি Interface আসবে এবং এটি Open হবে।

B. সফ্টওয়্যারটি এখন কাজ করার জন্য উপযুক্ত নয়, এটিকে কাজের উপযোগী করতে হলে আরো দুটি কাজ 

৫. করতে হবে- প্রথমটি হল Unit setting দ্বিতীয়টি হল Dimension setting। এ দুটি সেটিংস নিম্নে 

৬. নিম্নে আলোচনা করা হল।

Unit setting 

৭. Drawing unit setting করার জন্য UN লিখে Click করলে নিচে চিত্রের মত Inter page আসবে।

৮. Drawing Units ডায়ালগ বক্সটি আসার পর Mechanical Drawing এর জন্য নিম্ন বুলে সেটিং এর কাজটি সম্পন্ন করতে হবে।

a. Length Type Decimal (For Mechanical Engineering Drawing) 

b. Precision-> 0.000 

c. Angle Type ➡Decimal Degrees 

d. Precision 0.000 

e. Inserting scale➡Centimeters/Milimeters-ok

 

Dimension setting 

৯. Dimension setting করার জন্য স্কিনে 'D' লিখে Enter করলে নিমের ন্যায় Dimension style Manager ডায়ালগ বক্স আসবে।

১০. Dimension style Manager ডায়ালগ বক্স আসবে। এটি আসার পর নিম্ন রূপে সেটিংস এর কাজটি করতে হবে-

সতর্কতা: 

১. কাজের সময় মাস্ক ব্যবহার করবো। 

২. কাজের সময় সঠিক নিয়মে বসবো। 

৩. ড্রয়িং করার স্থানে পর্যাপ্ত লাইটিং এর ব্যবস্থা করে নিবো।

৪. কাজের সময় কম্পিউটার হতে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বসবো। 

৫. প্রয়োজন হলে চোখের নিরাপত্তার জন্য সেফটি গগলস পরবো । 

৬. কাজের সময় ইউ.পি.এস এর সাপোর্ট/ ল্যাপটপ এর ব্যাটারি চার্জ চেক করে নিবো।

অর্জিত দক্ষতা: অটোক্যাড ইন্সটল করার দক্ষতা অর্জন হয়েছে। যা বাস্তব ক্ষেত্রে যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব হবে।

 

 

Content added By
Please, contribute to add content into ড্রাফটিং সেটিংস ডায়ালগ বক্স এর মাধ্যমে স্ল্যাপ ও গ্রীড, পোলার ট্রেকিং এবং স্ল্যাপ অবজেক্ট সম্পর্কে বর্ণনা.
Content

Auto CAD Mechanical প্রোগ্রামের রুট মেনুর Assist থেকে Drafting setting-এ গিয়ে Drafting Setting সিলেক্ট করতে হবে। অথবা Auto CAD এর কমাণ্ড লাইনে dsetting লিখে Enter দিলে Drafting setting ডায়লগ বক্স আসবে ।

Assist->Drafting setting Drafting->settings 

চিত্রে Drafting settingডায়লগ বক্স দেখানো হল।

Drafting setting ডায়লগ বক্সে আটটি অপশন আছে। যথা-

  • Snape and Grid
  • Polar Tracking
  • Object Snap
  • Grid setting 
  • 3D Object Snap 
  • Dynamic Input 
  • Quick Properties এবং 
  • Selection cycling

 

 

Content added By

গ্রিড বলতে বুঝার রো এবং কলামের সাজানো কতগুলো বিন্দুর সমাবেশ। নিচের চিত্রে গ্রিডের নমুনা দেখানো হয়েছে।

দুটি পদ্ধতিতে গ্রিড সেটিং করা যায়। যেমন- 

(১) কমান্ড লাইনে কমান্ড লিখে এন্টার করে, 

(২) ডায়ালগ বক্সের মাধ্যমে।

প্রথমটি, Grid কমান্ড লিখে এন্টার করলে কমান্ড লাইনে নিম্ন লিখিত নির্দেশনা আসবে- 

Grid Spacing ( x ) or [ ON / OFF / Snap/Aspect ]<10.00>>:

এর পর কমান্ড লাইনে ON অথবা OFF লিখে এন্টার করার মাধ্যমে বিন্দুগুলো সক্রিয় অথবা নিষ্ক্রিয় করা যায়।

S টাইপ করে এন্টার করলে Snap মোডে যাবে যা কারসরের গতি বিধি নিয়ন্ত্রণ করবে। Aspect লিখে এন্টার করলে Xঅক্ষ ও Yঅক্ষ বরাবর দুরত্ব সমন্ধে জানা যাবে এবং দুরত্বের নতুন মान দিয়ে এন্টার করলে তা গ্রহন করবে।

 

 

Content added By

স্ল্যাপ অর্থ ধরা। স্ল্যাশ ও প্রিডের মান একই থাকলে এবং স্লাগ মোড অন থাকলে কার্সর গ্রিড বিন্দুকে ধরার জন্য লাফিয়ে লাফিয়ে এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে যাবে। ফ্লেপ সেটিং দুই পদ্ধতিতে করা যায়। যেমন- 

(১) কমান্ড লাইনে Snap কমান্ড লিখে এনজার করে, 

(২) ডায়ালগ বক্সের মাধ্যমে।

প্রথমটি কমান্ড লাইনে Snapলিখে এন্টার করলে Prompt line-এ যে নতুন বার্তা আসবে তা হলো- Snap Spacing or ON/OFF/Aspect/Rotate/Style<10.00>:

পূর্বেই বলা হয়েছে যে, Default valueৰা চলতি মান অ্যাঙ্গেল ব্রাকেটের মধ্যে থাকে। ON OFF করে স্ল্যাশ মোড সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় করা যায়।

১. Aspect কমাঙ্ক x অক্ষ y অক্ষ বরাবর দুরত্ব নির্ধারনে ব্যবহৃত হয়। 

২. Rotate কমান্ড গ্রিড বিন্দুগুলোর কৌনিক অবস্থান নির্ধারনে সাহায্য করে 

৩. Style অপশন দ্বারা গ্রিড বিদগুলোর সাজানো অবস্থান সমন্ধে জানা যায়। স্টাইলের দুটি অপসন আাছে। যথা- 

(i) Standard, 

(ii) Isometric.

1) Standard স্টাইলের জন্য S লিখে এন্টার করলে গ্রিড বিন্দুর এক ধরনের অবস্থান জানা যাবে। আবারfi) Isometricস্টাইলের জন্য I লিখে একইভাবে এন্টার করলে গ্রিড বিন্দুগুলোর অন্য রকম অবস্থান জানা যাবে।

যেহেতু, Grid ও Snap Drafting settings-এর অংশ। সুতরাং Drafting settings-এ প্রবেশ করার জন্য রুট মেনুর Assist Drafting settings Drafting settings ক্লিক করতে হৰে।

 

 

Content added By

এখানে পোলার অ্যাঙ্গেল সেটিংস সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য দেয়া হল। 

(i) Polar tracking ON (F10), 

(ii) Polar Angle Settings

৫” থেকে ৯০” পর্যন্ত বিভিন্ন পরিমান কোণ(Increment anle ) সিলেকশন বক্স থেকে সহজে সিলেক্ট করা যায়। এ ছাড়া Object Snap tracking settingss Polar Angle Measurmentপদ্ধি আছে। বিভিন্ন অপসন সেটিং শেষেOK ক্লিক করতে হবে।

 

 

Content added || updated By

অবজেক্ট স্ন্যাপ সেটিং (Object Snap Setting) :

৩য় অপশন Object Snap, যাকে সংক্ষেপে Osnap বলে। কার্সর দিয়ে ক্লিক করে Object Snap ট্যাব সক্রিয় করলে বিভিন্ন অপশন গুলো দেখা যাবে। এর প্রধান অংশ তিনটি। যথা-

(i) Object Snap ON (কি-বোর্ডের F3 নোভাম চেপে ON/OFF করা যায়, 

(ii) AutoCAD মূল স্কিনের বামপাশে নিচে Object Snap setting অপশনে ক্লিক করলে নিচের চিত্রেরমত্ত ভায়ালগ বক্স আসবে, সেখান থেকে প্রয়োজনীয় অপশন গুলি ক্লিক করে সিলেক্ট করে নিতে হবে

( Object Snap Modes: অবজেক্ট স্নাপ মোড ১৬ প্রকার। যথা: End point, Mid point, Center, Node, Quadant, Intersection, Extension, Insertion perpendicular, Tangent, Nearest, Apparent intersection, Parallel। কাংক্ষিত ফল পতে হলে ডায়ালগ বক্সে যে সমস্ত মোড প্রয়োজন তা চেক বক্স থেকে চেক করে OKবোতামে ক্লিক করতে হবে।

 

 

Content added By

ড্রাফটিং সেটিং করার জন্য নিম্ন লিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে-

পারদর্শিতার মানদন্ড : 

১. স্বাস্থ্য বিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পোশাক (পিপিই) পরিধান করা; 

২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা; 

৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, মেটেরিয়ালস ও ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ ও প্রস্তুত করা; 

৪. কাজের নিমিত্তে কম্পিউটার অন করা; 

৫. কাজের ধাপ অনুসরন করে ড্রাফটিং সেটিং করা; 

৬. কাজের শেষে যথা নিয়মে কম্পিউটার শাটডাউন করা; 

৭. কাজের স্থান ও যন্ত্রপাতি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং 

৮. চেক লিষ্ট অনুযায়ী যথা স্থানে সংরক্ষন করা;

 

ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম(PPE):

 

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ( Required Equipment):

কাজের ধাপ:

১. ড্রাফটিং সেটিং করতে হলে ক্ষিনে Dsetting লিখে Enter করলে Drafting Setting নিচের চিত্রের মত ডায়ালগ বক্স চলে আসবে।

 

সতর্কতা:

১. কাজের সময় মাস্ক ব্যবহার করবো। 

২. কাজের সময় সঠিক নিয়মে বসবো। 

৩. ড্রয়িং করার স্থানে পযাপ্ত লাইটিং এর ব্যবস্থা করে নিব। 

৪. কাজের সময় কম্পিউটার হতে নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে বসবো। 

৫. প্রয়োজন হলে চোখের নিরাপত্তার জন্য সেফটি গগলস পরবো। 

৬. কাজের সময় ইউ.পি.এস এর সাপোর্ট/ল্যাপটপ এর ব্যাটারি চার্জ চেক করে নিব।

 

অর্জিত দক্ষতা: অটোক্যাড ইন্সটল করার দক্ষতা অর্জন হয়েছে। যা বাস্তব ক্ষেত্রে যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব হবে।

 

Content added By

অটোক্যাড একটি কমান্ড নির্ভর সফটওয়্যার। প্রম্পট লাইন পর্দার নিচের অংশে অবস্থিত। কমান্ড লাইনে কমান্ড লিখে এন্টার করলে ব্যবহার কারী বিভিন্ন প্রকার নির্দেশনা দেখতে পায়। ডিফল্ট(Default) মানগুলো প্রম্পট লাইনে অ্যাংগেল ব্রাকেটের মধ্যে থাকে। উদাহরন স্বরূপ বলা যেতে পারে যে, একটি বৃত্ত অংকনের জন্য কমান্ড দিলে যা চাইবে তা হলো (radius / diameter-radius>)। এ অবস্থায় কোন কিছু না লিখে এন্টার করলেগ্রহন করবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কমান্ডের পুরো শব্দ না লিখে শব্দের প্রথম অক্ষরটি লিখে এন্টার করলে কম্পিউটার তা গ্রহন করবে। যেমন- Freeze, Line কমান্ডের জন্যFreeze-এ প্রথম অক্ষর F এবংLine কমান্ডের জন্য L লিখে এন্টার করলে অটোক্যাড, কমান্ড গ্রহন করবে। এ অধ্যায়ে টুলবার মেনু, টেমপ্লেট অপশন, উইজার্ড অপশন, অ্যাডভান্স সেটাআপ এবং কুইক সেটাআপ সর্ম্পেকে আলোচনা করা হয়েছে।

Content added || updated By

অটোক্যাডের টুলবার মেনু তালিকা রুট মেনুর View> Toolbars পাওয়া যাবে। টুলবারে গেলে নিচের মতো একটি তালিকা দেয়া হল।

টুলবার মেনুর তালিকায় বিভিন্ন অপশন কাজ করার পূর্বে অটোক্যাড উইন্ডোজ এর প্রধান অংশ সমুহের বিভিন্ন অপশন সম্পর্কে জেনে নেয়া দরকার। নিচের অনুচ্ছেদে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

 

 

Content added By

টেমপ্লেট ফাইল দিয়ে ড্রয়িং শুরু করা যায়। টেমপ্লেট ফাইল ড্রয়িং করার প্রয়োজনীয় সকল বিষয় ঠিক করা আছে।যার মধ্যে আছে লেয়ার, ডাইমেনশন স্টাইল এবং ভিউ সংক্রান্ত বিষয়ও। টেমপ্লেট ফাইলের নামের শেষে বঁwtএক্সটেনশন থাকে কিন্তু সাধারন ড্রয়িং ফাইন্সের এক্সটেনশন হচ্ছে dwg।

টেমপ্লেট সিলেক্ট করা(Templat Sellection)

অটোক্যাডের File>Newক্লিক করলে Create a New ডায়ালগ বক্স আসবে। Open অপশনে ক্লিক করলে নতুন পেইজ অপেন হবে।

রুট মেনুর File থেকে ক্লিক করে কোনো ডায়ালগ বক্স দেখা না পেলে STARTUP সিস্টেম ভেরিয়েবল ভ্যালু ১ ইনপুট দিতে হবে। ভ্যালু ১ ইনপুট দেয়ার নিয়ম নিচে দেয়া হল-

  • কমাঙ্ক লাইনে File লিখে এন্টার করলে নির্দেশনা আসবে
  • New Value of STARTUP < >:

ডিফল্ট মান'O' অ্যাংগেল ব্রাকেটের মধ্যে দেয়া আছে। এ অবস্থায় File থেকে New ক্লিক করলে কোন ডায়ালগ বক্স দেখা যাবে না। তাই '০' এর স্থলে ১' লিখে এন্টার করতে হবে। এখন, Fileথেকে New ক্লিক করলে একটি ডায়ালগ বক্স দেখা যাবে।

ডায়ালগ বক্সটির নাম Create a New Drawing | বক্সটির উপরে বাম দিকে ৪ টি অপশন নিয়ে ঘটি বোতাম আছে। ৰোতাম গুলো ভিন্ন ভিন্নকাজ করে। যেমন-

১ম- বোতাম ড্রয়িং অপশনের কাজ করে। 

২য়- বোতাম ক্লিক করে Start for scratch অপশন নিয়ে কাজ করা যায়। 

৩য়- বোতামের সাহার্যে টেমপ্লেট অপশন নিয়ে কাজ করার জন্য । 

৪র্থ-Wizardবোতাম ক্লিক করে Advanced Setup এবং Quick Setupঅপশন নিয়ে নতুন ফাইল খোলা যায়।

চিত্র অনুযায়ী টেমপ্লেট অপশন নিয়ে নতুন ফাইল ওপেন করতে ৩য় বোতাম ক্লিক করে এবং ডায়ালগ বক্সের টেমপ্লেট তালিকা থেকে কাঙ্ক্ষিত ফাইলটি সিলেক্ট করা যায়। এখন, OK বোতাম ক্লিক করলে টেমপ্লেট ফাইল নিয়ে অটোক্যাড ওপেন হবে।

 

Content added By

উইজার্ড মানে কোনো কিছু খাপে খাপে বিস্ময়কর ভাবে কমানো। একটি ড্রয়িং ফাইলে বেশ কিছু সেটআপের প্রয়োজন হয়। প্রোগ্রামের মাধ্যমে এই সেটআপগুলি আগে থেকেই সাজানো থাকে। অটোক্যাডে উইজার্ড অপশন ব্যবহার করে এক একটি ধাপ নিয়ে নতুন ফাইল ওপেন করার ব্যবস্থা আছে। উইজার্ড ব্যবহার করে ফাইল খোলার জন্য উইজার্ড অপশন বাটন ক্লিক করতে হবে। Wizardবাটন ক্লিক করলেAdvanced Setup এবং Quick Setup অপশন দুটি দেখা যাবে।

 

Content added By

অটোক্যাড প্রোগ্রাম ওপেন করলে কম্পিউটারের পর্দার অটোক্যাড উইন্ডোজ দেখা যাবে। নিচে অটোক্যাড উইন্ডোজের প্রধান প্রধান অপশন নিয়ে আলোচনা করা হলো-

(১) Memu Bar এর অপশন গুলো হচ্ছে, যথাক্রমে- File, Edit, View, Insert, Assist, Design, Modify, Annotate, Content, Window, Help 

(২) Standend Toolbar এর অপশন গুলো হচ্ছে, যথাক্রমে- Qnew, Open, Save, Print, Plot Preview, Publish, Cut to clipboard, Copy to clipboard, Past from clipboard, Match Properties, Undo, Redo, Pan Real-time, Zoom real-time, Zoom, Zoom previous, Properties, Design Center, Tool Palettes and Help 

(৩) File Status bare চলতি ফাইলের নাম দেখা যাবে। 

(৪) Object Properties toolbar এ সাহায্যে অবজেক্ট প্রোপারটিজ যেমন- Color, Line Type, Line Weightসেট করা এবং Layer ম্যানেজ করা যায়।

প্রত্যেক অঙ্কিত বস্তুর নিজস্ব পুনাগুন বা প্রোপার্টিজ আছে। অংকিত বস্তুটির সাধারন গুনাগুন অন্যান্য বস্তুর মধ্যেও থাকতে পারে। যেমন- লেয়ার, কালার, লাইন টাইপ, এবং প্লট স্টাইল। কিছু সুনির্দিষ্ট প্রোপার্টিজ শুধুমাত্র ঐ বস্তুটি কেমন তার উপর নির্ভর করে। যেমন-একটি বৃত্তের ব্যাসার্ধ এবং ক্ষেত্রফল। লাইনের দৈর্ঘ্য এবং ইত্যাদি। একটি বস্তুর অধিকাংশ সাধারন প্রোপার্টিজ লেয়ারের মাধ্যমে বরাদ্দ দেয়া হয় অথবা বন্ধুর উপর সরাসরি প্রয়োগ করা যেতে পারে। BYLAYERভ্যালু দিয়ে প্রোপার্টিজ সেট করলে যে লেয়ার অঙ্কিত হবে সেই লেয়ারে সমস্ত গুনাগুন প্রাপ্ত হবে। ধরা যাক কোন একটি লেয়ার নিয়ে একটি সরল রেখা অংকন করতে হবে, যার কালার লাল সেট করা আছে। এমতাবস্থায় সরল রেখাটি নীল রঙের আঁকতে হলে আে থেকে নীল রঙটি সিলেক্ট করে নিতে হবে ।

(৫) Draw Toolbars: ড্র টুলবারের বিভিন্ন অপশনগুলো নিচের চিত্রে দেখানো হলো-

(৬) Modify Toolbars: এটিতে রয়েছে মডিফাই অপশন। যথা: Erase, Copy, Mirror, Offset, Array, Move Rotate ইত্যাদি।

(৭) World Coordinession System (WCS): অটোক্যাড কোঅর্ডিনেট সিস্টেম তিনটি অক্ষ নিয়ে গঠিত। অঙ্কগুলো হচ্ছে X, Y এবং Z। অটোক্যাডের যে কোন নতুন ফাইলে WCS, XY ভনের সাথে X অক্ষ হরাইজেন্টাল Y অক্ষ ভার্টিক্যাল এবং Z অক্ষ পারপেন্ডিকুলার বা লম্ব ভাবে অবস্থান করে। অটোক্যাডের একটি সুনির্দিষ্ট কোঅডিনেট সিস্টেম আছে, যা WCS নামে পরিচিত। নতুন কোন ফাইল অপেন করলে ডিফল্ট হিসেবে অটোক্যাড উইন্ডোজের নিচের বাম কোনে WCS কে দেখা যাৰে।

(৮) User Coordination System (UCS): কার্তোসিয়ান কোঅর্ডিনেশন সিস্টেম তিনটি অক্ষ X, Y এবং Z নিয়ে গঠিত। কোন একটি বিন্দুর কোঅর্ডিনেট-এর মানে ইনপুট দেয়া অর্থ হল মূল বিন্দু (০,০,০) থেকে বিন্দুর অবস্থান X, Y এবং Z অক্ষ বরাবর ধনাত্নক ঋনাত্মক দিক সুচিত করে। ব্যবহারকারী ইচ্ছা মাফিক ড্রয়িং এরিয়ারযে কোন স্থানে WCS Iconসরিয়ে নিতে পারে। তখন তা User Coordination System বা সংক্ষেপে UCS নামে অভিহিত হয়।

(৯) User Coordination System Icon (UCS Icon): ব্যবহারকারী তার প্রয়োজনে WCS আইকনটি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরালে বা নতুন অবস্থানে নিলে বা ঘুরালে WCS আইকনটি UCS Icon এ পরিনত হয়। বিভিন্ন অবস্থায় আইকন কেমন রুপ ধারণ করে তার একটি নমুনা নিচের চিত্রে দেয়া হয়েছে।

নিচের চিত্রে একটি UCS টুলবার দেখানো হয়েছে। এখানে বিভিন্ন অপশন নিয়ে বেশ কয়েকটি বাটন আছে। UCS টুলবার ক্লিক করে চিত্রের সকল অপশন নিয়ে কাজ করা যায়। (চিত্র)

(১১) Command Windows: যেখানে কমান্ড জনিত নির্দেশনা দেখা যায়। 

(১২) Status Bar cursor অবস্থানের স্থানাঙ্ক দেখার ব্যবস্থা আছে। এটিতে আরো আছে, Snap, Grid, Ortho, Osnap, (অবজেক্ট স্ল্যাগ), OTrack, Lwt Line Weight)

 

 

Content added || updated By

পারদর্শিতার মানদন্ড

১. স্বাস্থ বিধি মেনে ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা পোষাক (পিপিই) পরিধান করা; 

২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা; 

৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুল্স, মেটেরিয়ালস ও ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ ও প্রস্তুত করা; 

8. কাজের নিমিত্তে কম্পিউটার অন করা; 

৫. কাজের ধাপ অনুসরন করে ইউজার কো-অর্ডিনেট সিষ্টেম কনফিগার করার প্রস্তুতি গ্রহন করা; 

৬. কাজের ধাপ অনুসরন করে ইউজার কো-অর্ডিনেট সিস্টেম কনফিগার সম্পন্ন করা 

৭. কাজের শেষে যথানিয়মে কম্পিউটার সাটডাউন করা; 

৮. কাজের স্থান ও যন্ত্রপাতি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং 

৯. চেক লিষ্ট অনুযায়ী যথাস্থানে সংরক্ষন করা;

ধাপ ৩। ক্লিক ইউসিএস আইকন

ধাপ ৪। ক্লিক অরিজিন

সতর্কতা: 

১. কাজের সময় মাস্ক ব্যবহার করবো। 

২. কাজের সময় সঠিক নিয়মে বসবো। 

৩. ড্রয়িং করার স্থানে পর্যাপ্ত লাইটিং এর ব্যবস্থা করে নিব। 

৪. কাজেরসময়কম্পিউটার হতে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বসবো। 

৫. প্রয়োজন হলে চোখের নিরাপত্তার জন্য সেফটি গগলস পরবো। 

৬. কাজের সময় ইউ.পি.এস এর সার্পোট/ল্যাপটপ এর ব্যাটারি চার্জ চেক করে নিব।

অর্জিত দক্ষতা: ইউজার কো-অর্ডিনেট করার দক্ষতা অর্জন হয়েছে। যা বাস্তব ক্ষেত্রে যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব হবে।

 

 

Content added By

অটোক্যাড কমান্ড প্রয়োগ করার পদ্ধতি সমূহ (Systems to apply command):

৫ টি উপায়ে অটোক্যাডে কমান্ড প্রয়োগ করা যায়। যথা- 

(১) অটোক্যাড ম্যানু ব্যবহার করে 

(২) কি-বোর্ডের সাহয্যে কমান্ড লাইনে কমান্ড লিখে এবং এন্টার করে, 

(৩) টুলবার ক্লিক করে, 

(৪) সর্টকাট মেনু থেকে এবং

(৫) Accelator Keys ব্যবহার করে।

এ ছাড়াও 3D (Primitive) বস্তুর ক্ষেত্রে আইকন সিলেকশনের মাধ্যমে কমান্ড দেয়া যায়।

 

 

Content added By

অ্যাডভান্স উইজার্ড সম্পর্কে বর্ণনা(Advanced Setup):

একটি নতুন ড্রয়িং ফাইল ওপেন করার জন্য দুইটি অপশনের যে কোন একটি সিলেক্ট করতে হবে। প্রথমে Advanced set up অপশনটি সিলেক্ট করে ok বাটনে ক্লিক করলে Advanced set upডায়ালগঞ্জ আসবে।

এই ডায়ালগ বক্স থেকে Advanced set up উইজার্ডে ছয়িং unit, Angle, Measure, Angle direction এবং ড্রয়িং এরিয়া (area) নতুন ভাবে সেট করা যায়। এখানে ইউনিট সেটিং ও Prececision ঠিক করার ব্যবস্থা আছে। উপযুক্ত বিষয়গুলো খাপে খাপে সেট করার জন্য Next বাটনে ক্লিক করতে হবে এবংসবশেষে Finish বাটনে ক্লিক করলে সেট করা অপশন নিয়ে নতুন ফাইল ওপেন হবে।

 

 

Content added By

ইউনিট সেটিং (Unit setting)

(ক) ডায়ালগ বক্সে দৈর্ঘ্য মাপার পাঁচটি অপশন আছে। যথা-

খ) মাপের সুক্ষতার জন্য হতে ০.০০০০০০০০ পর্যন্ত অপশনগুলির মধ্যে প্রয়োজনী অপশনটি বেছে নিতে হবে ।

 

Content added By

(ক) কোন মাপার জন্য Anticlockwise / Clockwise বেছে নিতে হলে চয়েস বক্স ক্লিক করতে হবে । 

(খ) অ্যাঙ্গেল বা কোন মাপার ধরন পাঁচ প্রকার। যথা-

উপর্যুক্ত ৬ টি অপশনের যে কোন একটি চয়েস করে ডায়ালগ বক্সের ok বোটন ক্লিক করলে কাঙ্ক্ষিত মান সহ ইউনিট নির্ধারনের কাজ শেষ হবে।

 

Content added By

এরিয়া চিহ্নিত ডায়ালগ বক্সে Width ও Length নামক দুইটি বক্স রয়েছে। ডিফল্ট মানWidth=9 একক এবং Length=12 একক থাকে। ড্রয়িং এর প্রয়োজনীয় দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের মান বসিয়ে এরিয়া সেট করে বাটনে ক্লিক করতে হয়।

Content added || updated By

কুইক সেটআপ উইজার্ড অপশন সম্পর্কে বর্ণনা(Quick Setup):

কুইক সেট আপ উইজার্ড অপশন পাওয়ার জন্য File-এ গিয়ে New-তে ক্লিক করলে চিত্রের মত ডায়ালগ বক্স আসবে, এখন এই বক্সের Use a Wizard অপশনে ক্লিক করলে Quick Setup অপশনটি চলে আসৰে। Quick Setup অপশনটি সিলেক্ট করে ok বাটন ক্লিক করলে ডায়ালগ বক্স আসবে। ডায়াল বক্সের দুইটি অপশন unit এবং Area সেট করে Finish বাটন ক্লিক করলে সেট করা মান নিয়ে নতুন ফাইল ওপেন হবে।

 

Content added By

পারদর্শিতার মানদন্ড : 

১. স্বাস্থ বিধি মেনে ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা পোষাক (পিপিই) পরিধান করা; 

২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা; 

৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, মেটেরিয়ালস ও ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ ও প্রস্তুত করা; 

৪. কাজের নিমিত্তে কম্পিউটার অন করা; 

৫. কাজের ধাপ অনুসরন করে অ্যাডভান্স সেটআপ করার প্রস্তুতি গ্রহন করা ; 

৬. কাজের ধাপ অনুসরন করে অ্যাডভান্স সেটআপ সম্পন্ন করা; 

৭. কাজের শেষে যথানিয়মে কম্পিউটার সাটডাউন করা; 

৮. কাজের স্থান ও যন্ত্রপাতি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং 

৯. চেক লিষ্ট অনুযায়ী যথাস্থানে সংরক্ষন করা;

 

ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম(PPE):

 

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ( Required Equipment):

কাজের ধাপ: 

কুইক সেটআপ নিয়ে কাজ করার জন্য নিম্নলিখিত ধাপ অনুসরন করো। 

ধাপ ১। অটোক্যাড ওপেন করো। 

ধাপ ২। প্রথমে File-ওেপেন করেNewতে ক্লিক করে Use a Wizard সিলেক্ট করো। 

ধাপ ২। ক্ষিনে চিত্র অনুযায়ী কুইক সেটআপ ডায়ালগ বক্স আসবে।

মাপ ৩। OK ক্লিক করো । 

মাপ ৪। স্ক্রিনে চিত্রের মত ডায়ালগ বক্স আসবে।

ধাপ ৫। ইউনিট সেটাপ করো। 

ধাপ ৬। ক্লিক Next

ধাপ ৭। চিত্রের মত এরিয়া সেটআপ করো।

ধাপ ৮। উইডথ ১০০০ এবং ল্যাং ১০০০ দাও । 

ধাপ ৯। ফিনিস ক্লিক করো।

 

সতর্কতা: 

১. কাজের সময় মাস্ক ব্যবহার করবো। 

২. কাজের সময় সঠিক নিয়মে বসবো। 

৩. ড্রয়িং করার স্থানে পর্যাপ্ত লাইটিং এর ব্যবস্থা করে নিব। 

৪. কাজের সময় কম্পিউটার হতে নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে বসবো। 

৫. প্রয়োজন হলে চোখের নিরাপত্তার জন্য সেফটি গগলস পরবো। 

৬. কাজের সময় ইউ.পি.এস এর সার্পোট/ল্যাপটপ এর বেটারি চার্জ চেক করে নিন।

অর্জিত দক্ষতা: অটোক্যাড ইন্সটল করার দক্ষতা অর্জন হয়েছে। যা বাস্তব ক্ষেত্রে যথাযথ ভাবে প্ররোপ করা সম্ভব হবে।

 

 

Content added By

পারদর্শিতার মানদণ্ড: 

১. স্বাস্থ্য বিধি মেনে ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা পোষাক (পিপিই) পরিধান করা; 

২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রভুত করা; 

৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়ালস ও ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ ও প্রস্তুত করা; 

৪. কাজের নিমিত্তে কম্পিউটার অন করা; 

৫. কাজের শেষে যথানিয়মে কম্পিউটার শাট ডাউন করা; 

৬. কাজের স্থান ও যন্ত্রপাতি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং 

৭. চেক নিষ্ট অনুযায়ী যথাস্থানে সংরক্ষন করা।

ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম(PPE):

 

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ( Required Equipment):

কাজের ধাপ: 

এ্যাডভান্স সেটাআপ উইজার্ড নিয়ে কাজ করার জন্য নিম্নলিখিত ধাপ অনুসরন করো। 

ধাপ ১। অটোক্যাড ওপেন কর। 

ধাপ ২। প্রথমে File ওপেন করে New তে ক্লিক করে Use a Wizard সিলেক্ট করো। 

ধাপ ২। স্ক্রিনে চিত্র- অনুযায়ী অ্যাডভান্সড সেটআপ উইজার্ড ডায়ালগ বক্স আসবে।

ধাপ ৩। Ok ক্লিক কর। 

ধাপ ৪। স্ক্রিনে চিত্র-এর মত ডায়ালগ বক্স আসবে।

ধাপ ৫। ইউনিট সেটআপ করো। 

ধাপ ৬। ক্লিক Next 

ধাপ ৭। চিত্র- এর মত এ্যঙ্গেল সেটআপ করো।

ধাপ ৮। এ্যঙ্গেল মেজার সেটআপ করো। 

ধাপ ৯। এ্যঙ্গেল ডিরেকশন সেটআপ করো।

ধাপ ১০। এরিয়া সেটআপ এ Width1000 এবং Length ১০০০ দাও । 

ধাপ ১১। Finish ক্লিক করো।

সতর্কতা: 

১. কাজের সময় মাস্ক ব্যবহার করবো। 

২. কাজের সময় সঠিক নিয়মে বসবো । 

৩. ড্রয়িং করার স্থানে যথাযথ লাইটিং এর ব্যবস্থা করবো। 

৪. কাজেরসময়কম্পিউটার হতে নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে বসবো । 

৫. প্রয়োজন হলে চোখের নিরাপত্তার জন্যসেফটি গগলস পরিধান করবো। 

৬. কাজের সময় ইউ.পি.এস এর সাপোর্ট/ল্যাপটপ এর ব্যাটারি চার্জ চেক করবো।

 

অর্জিত দক্ষতা: অটোক্যাড এর এ্যাডভান্স সেটাআপ উইজার্ড সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন হয়েছে। যা বাস্তব ক্ষেত্রে যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব হবে।

 

 

Content added By
Please, contribute to add content into প্রশ্নমালা-১.
Content

Promotion